সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার মশিপুর গ্রামের নাইট গার্ড যুবক ফেরদৌস আলী (১৮) নিখোঁজের ৫ দিন পর মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ফেরদৌস ওই মশিপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। স্থানীয় আর কে টেক্সটাইল মিলের নাইটগার্ড ছিলেন ফেরদৌস।
এ ঘটনায় জড়িত একই এলাকার ঘোড়শাল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মামুনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেরদৌস ওই টেক্সটাইল মিলে দায়িত্ব পালনে যায়। পরদিন সকালে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন ওই মিলসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পায়নি।
সোমবার এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানা একটি জিডি করা হয়। জিডির পর পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডলের দিকনির্দেশনায় মঙ্গলবার রাতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামুনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে বগুড়া-নগড়বাড়ি মহাসড়ক সংলগ্ন ওই মিলের ভেতরে মাটির নিচে পুঁতে রাখা ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন বিকেলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশটি প্রেরণ করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানায়, ওইদিন রাতে টেক্সটাইল মিলে চুরি করতে আসলে নাইটগার্ড ফেরদৌস তাকে চিনে ফেলে এবং চুরিতে বাঁধা প্রদান করে। এসময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মামুন ফেরদৌসের মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মামুন মুখে কম্বল চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে মিলের ভেতরের দেয়ালের কাছে মাটির নিচে পুতে রেখে তার মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে এলাকায় ব্যাপক শোকের ছায়া নেমেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে নিখোঁজ জিডির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার লাশ উদ্ধার ও হত্যাকান্ডে জড়িত মামুনকে গ্রেফতার করায় এলাকায় পুলিশ প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা।